অথ চুমু-চরিত কথা
অধরের
কানে যেন অধরের ভাষা। দোঁহার
হৃদয় যেন দোঁহে পান করে।
গৃহ ছেড়ে নিরুদ্দেশ দুইটি
ভালবাসা। তীর্থযাত্রা
করিছে সঙ্গম। রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের ভাষায় এটাই চুম্বনের
সংগা। চুম্বন
হল নর-নারীর ভালবাসার
আবহমান প্রকাশ। দিন
বদলেছে। চুম্বন
যদি ভালবাসা দাখিলের এক মাধ্যম হয়,
তাহলে তা শুধু নর-নারীর মধ্যে কেন
সীমাবদ্ধ থাকবে ? এখন বাণিজ্যিক প্রয়োজনের
দোহাই দিয়ে হলেও সিলভার
স্ক্রিনে নারী-নারীতে চুম্বন
উষ্ণতা ছড়ায়। লিখলেন ময়ুমী গুপ্ত।
সানি-সন্ধ্যা: সম্প্রতি একতা কাপুর পরিচালিত
'রাগিনি এম এম এস
২' ছবিতে সানি লিওন
ও সন্ধ্যা মৃদুলের চুম্বনদৃশ্য নিয়ে মৃদু হইচই
শুরু হয়। আলোচনা
তো হবেই। একদিকে
সন্ধ্যা মৃদুল, অন্যদিকে তো
গ্রেট সানি লিওন।
কিন্তু এমন দৃশ্য তো
বলিউডে এই প্রথম নয়। তবে
এই চুম্বন কিন্তু পরস্পরকে
ভালোবেসে আদৌ ছিল না। পার্ট
অফ গেম। দুই
নারী, হাতে তরবারী।
শাবানা-নন্দিতা
: ওরা কোন ল মানে
না। তাই
ওরা ললনা। 'ওগো
বধু সুন্দরী' ছবিতে উত্তমকুমার সন্তোষ
দত্তকে মেয়েদের সম্পর্কে এমনটাই বলেছিলেন।
বিবাহিত জীবনে তৃপ্তি নেই। জীবন
ক্রমশ ফাঁস হয়ে গলায়
এঁটে বসছে। তাই
অসমবয়সী দুই নারী জীবনে
পরিতৃপ্তি পেতে একে অপরকে
আঁকড়ে ধরে। সনাতন
ভারতীয় সংস্কৃতি রসাতলে গেল- 'ফায়ার'
মুক্তি পাওয়ার পর এমনি
বলা হয়েছিল। ঘনিষ্ঠ
মুহুর্তে শাবানা-নন্দিতার সেই
আবেগঘন চুম্বন, যা দেখে স্তম্ভিত
হয়েছিলেন গড়পরতা দর্শক।
তবে নিষিদ্ধ সম্পর্ক দেখার উত্তেজনাও কম
ছিল না।
কল্কি-কীর্তি : 'শয়তান' ছবিতে কীর্তি
কূলহারি ও কল্কি কয়েচলিনকেও
দেখা গিয়েছিল এক চুম্বন দৃশ্যে। যদিও
কীর্তি সেই দৃশ্যের শুটিং-এর আগে বেশ
নার্ভাস ছিলেন। নিজে
মুখেই তিনি সেকথা জানিয়েছিলেন। তবে
কীর্তি স্বছন্দ থাকুন বা না
থাকুন এই দৃশ্যে দর্শক
বেশ নড়েচড়ে বসেছিলেন।
দু'একটা দীর্ঘশ্বাসও বোধ
হয় পড়েছিল। কে
জানে।
লিজা-শীতল : সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে
বড় হয়ে ওঠা দুই
নারী। তাঁরাই
যেন কিভাবে জড়িয়ে পড়ে
ভালবাসার বন্ধনে। যখন
টের পায়, তখন প্রেম
এতটাই শাখা-প্রশাখা মেলে
দিয়েছে, যে তা অস্বীকারের
উপায় নেই। 'আই
কান্ট্ থিঙ্ক স্ট্রেট' ছবিতে
ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে লিজা রে
ও শীতল শেঠ - শুধু
প্যাশনেট নয়, দেশ-কাল
জয়ী প্রেমের আবেদনে মুখর ছিল
সেই ক্ষণ।
No comments