Header Ads

Breaking News

মানবিকতার খাতিরে প্রজেক্টগুলো যাতে বন্ধ না হয় সেদিকটা সবাইকে দেখতে হবে- বিশ্বরূপ


এমবিএ শেষ করেই চাকরি নিয়ে বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। সেই সময়ই আসে অভিনয়ের সুযোগ। চাকরির নিশ্চিত জীবন ছেড়ে অভিনয়ের জগতকেই বেছে নেন দুর্গা দুৰ্গেশ্বরীর ওঙ্কার ওরফে বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত লকডাউনের জন্য শ্যুটিং বন্ধ। কীরকম কাটছে তাঁর দিনগুলো? আড্ডায় কলকাতা গ্লিটজকে জানালেন বিশ্বরূপ

গ্লিটজ- অভিনয়ের শুরুটা কীভাবে হয়েছিল?
বিশ্বরূপ- আমার এক বন্ধুর মাধ্যমেই অভিনয়ের সুযোগটা পেয়েছিলাম। আমি ওই সময় MBA করছিলাম। আমার বন্ধু ইন্দ্রনীল মল্লিক তখন ভাষা সিরিয়ালটা করছিল। ওর মাধ্যমেই ভাষা সিরিয়ালে এক মিনিটেরও কম একটা ছোট রোল করি। তারপর ভুলেও গিয়েছিলাম। ওই সময় MBA শেষ করে, চাকরি নিয়ে আমার বাইরের যাওয়ার কথা ছিল। তখনই শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর মুখ্য চরিত্রের জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আমার তখন চাকরি করতে আর ভালো লাগছিলো না, তখন ভাবলাম দেখি একবার কাজটা করে। ওটাও কিছু বন্ধুর মাধ্যমেই হয়েছিল। শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু আমার প্রথম কাজ।


গ্লিটজ- চাকরি জীবন ছেড়ে অভিনয়ের জগতে এলে, সেক্ষেত্রে বাড়ি থেকে কোনো আপত্তি হয়নি?
বিশ্বরূপ- না। বাড়ি থেকে সেভাবে কখনও আপত্তি করেনি। ম্যাচিওর হওয়ার পর বাড়িতে আমার ডিসিশন আমাকেই নিতে দেওয়া হত। তবে আপত্তি না থাকলেও চিন্তা ছিল। Secure চাকরি ছেড়ে insecure একটা প্রফেশনে কী হতে চলেছে তা কারো জানা ছিল না। তাই সংশয় ছিল। আর সেটা থাকাটাও স্বাভাবিক। তবে এখন সবাই খুব খুশি।

গ্লিটজ- দুর্গা দুৰ্গেশ্বরীর অফারটা কীভাবে পেলে?
বিশ্বরূপ- আমি শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের সঙ্গে আগেও কাজ করেছিলাম। ওদের জয় কালী কলকাত্তাওয়ালীতে একটা-দুটো গল্পে কাজ করেছি। তারপর আমার আগের প্রজেক্ট গুরুদক্ষিণার পর ভেঙ্কটেশের থেকে সাহানা দি আর সন্দীপ দা যোগাযোগ করে। ওইসময় কোনো কাজও করছিলাম না। তারপর ওঙ্কার চরিত্রটার জন্য লুক সেট হয়।

গ্লিটজ- এখন তো শ্যুটিং বন্ধ, কীভাবে সময় কাটাচ্ছ?
বিশ্বরূপ- এই মুহূর্তে আমি কলকাতাতে নেই।  আমার গ্রামের বাড়ি পুরুলিয়াতে, সেখানেই আছি। আমি বই পড়তে ভালোবাসি, তাই প্রচুর বই সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি। বই পড়ছি, গান শুনছি, ওয়েব সিরিজ দেখছি। এখানে এখনও গ্রীন জোন। তাই লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ায় আশেপাশে ঘুরছি। এখানে তো অত জনবসতি নেই, চারিদিকে মাঠ ঘাট জঙ্গল। তাও সাবধানতা বজায় রেখেই ঘুরছি। তাছাড়া আশেপাশের কিছু লোক ও কয়েকজন বন্ধুরা মিলে এখানে কিছু সোশ্যাল ওয়ার্কের কাজও করেছি।


গ্লিটজ- লকডাউন উঠে গেলে সবার প্রথম কোন কাজটা করবে?
বিশ্বরূপ- কী করব এখনও জানি না। লকডাউন উঠুক আগে। কাজটা শুরু হওয়ার দরকার। যেভাবে প্রজেক্টগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেটা সত্যি চিন্তার। আমাদের তো No Work No Pay বেসিসে কাজ হয়, তাই আমার মনে হয় সবাই মিলে এগিয়ে আসতে হবে যাতে লকডাউন উঠলে কোনও প্রজেক্ট বন্ধ না হয় সেটা নিশ্চিত করা যায়। মানবিকতার খাতিরেই এই দিকটা দেখা উচিত। কম করে দু'মাস ও যদি প্রজেক্টগুলো চালায়, তাহলে টেকনিশিয়ান বা অন্যান্য কলাকুশলীরা নতুন করে কাজ খোঁজার রসদ পাবে। লকডাউন উঠে গেলে করতে তো চাই অনেককিছুই , কিন্তু আদৌ সেগুলো করতে পারব কি না জানিনা। যেমন আমার এখন খুব ইচ্ছে করছে কোথাও একটা ঘুরতে যাই দু'দিনের জন্য কোথাও একটা ঘুরে আসি। কিন্তু সেটা করা সম্ভব হবে কিনা জানিনা। বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে দেখা করতে চাই, কাজে ফিরতে চাই।

No comments