'কাহানি' ছবিতে এক্সট্রা ছিলাম - ফারহান
মৈনাক ভৌমিকের
সহকারী থেকে বিদ্যা বালানের ছবিতে একস্ট্রার কাজ। এই মুহূর্তে ছোট পর্দার অন্যতম হার্টথ্রব।প্রেম, ভালোলাগা, অভিনয় জগতে আসা সব
নিয়ে Kolkata GlitZ-এর সামনে অভিনেতা ফারহান ইম্রজি। শুনলেন সুমি মিত্র। ফটোগ্রাফার- সাগ্নিক মজুমদার।
স্কুল?
ফারহান-
সেন্ট থমাস বয়েজ স্কুল।
কলেজ
?
ফারহান
- সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ।
জন্মদিন?
ফারহান- ৫ জুন।
কবে থেকে ভাবলে যে
অভিনয়টাই করবে?
ফারহান-
অভিনেতাই হব সেরকম কখনো
ভাবিনি। তবে
ফিল্ম ভালো লাগত।
কলেজে মাস কমিউনিকেশন এন্ড
ফিল্ম স্টাডিস নিয়ে পড়াশোনা করেছি। তবে
স্কুলে থাকতে ইংলিশ নিয়ে
পড়ব ভেবেছিলাম। কলেজে
গিয়েই ফিল্মের ভালবাসায় পরে যাই।
ওখানে ডিরেকশন, এডিটিং, সাউন্ড ডিজাইনিং, ফিল্মের
সব টেকনিকের সঙ্গে পরিচিত হই। এরপর
সহকারী পরিচালকের কাজ করি মৈনাক
ভৌমিকের সঙ্গে। বেডরুম,
মাছ মিষ্টি এন্ড মোর-এ। এরপর
আমার এক টিচারের পরামর্শে
অডিশন দিতে যাই।
ব্যাস তারপরই অভিনয় শুরু
হল।
প্রথম
ব্রেক ?
ফারহান-
বড় ব্রেক বলতে গেলে
টেলিভিশনে। 'কেয়ার
করি না' বলে একটা
সিরিয়াল করতাম।
অভিনয়
ছাড়া কি করতে ভালো
লাগে?
ফারহান-
ফুটবল, গিটার বাজাতে, গান
গাইতে।
প্রিয়
অভিনেতা ও অভিনেত্রী ?
ফারহান-
নাওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি, শাহরুখ খান, ব্র্যাড
পিট্, জেনিফার লরেন্স।
এখনো অবধি স্পেশাল মোমেন্ট ?
ফারহান- স্পেশাল মোমেন্ট বলতে গেলে আমার প্রথম শট। বিদ্যা বালনের 'কাহানি' ছবিটায় একজন এক্সট্রা হিসেবে কাজ করেছিলাম। বব বিশ্বাস মোটা মতো একজন লোককে পেটে গুলি মেরে চলে যাচ্ছে , তখন আমি খুব চিৎকার করছি পাশ থেকে। সেটা ২ সেকেন্ডের শট। আমার প্রথম ক্যামেরা ফেস বলতে ওটাই। সুজয় ঘোষ, বিদ্যা বালান, পরমব্রত, অপু দা সবার সামনে শট টা। তাই ওটা যত ছোটই হোক না কেন আমার কাছে সবসময় স্পেশাল থাকবে।
ইন্সপিরেশন?
ফারহান- আমার মা, বাবা। মায়ের জন্যই আমার অভিনেতা হওয়া।
প্রথম প্রেম?
ফারহান- (হেসে) স্কুলে তো ছোটখাটো হয়েই থাকে। স্কুলে একজন ছিল। যদিও ব্যাপারটা তখন খুবই বোকা বোকা ছিল।
এখন সিঙ্গেল না রিলেশনশিপে আছ?
ফারহান- এখন সিঙ্গেল।
স্বপ্নের চরিত্র ?
ফারহান- এমন কোনো চরিত্র যেটা চ্যালেঞ্জিং হবে। সে যেরকমই চরিত্র হোক না কেন। যেটা করতে জেদ তৈরী হবে।