Header Ads

Breaking News

পুজোর কদিন শাড়িই পরব-তনুশ্রী


কন্যে সাজেন, আবার রাঁধেনো ভালো, শাড়িই তাঁর হট ফেভারিট। তাই পুজোর কদিন শুধু শাড়িতেই প্যান্ডেল হপিং-এর প্ল্যান। আর চলবে তুমুল আড্ডা ও খাওয়া দাওয়া। বাংলা ছবির এই সময়ের অন্যতম অভিনেত্রী তনুশ্রী -এর সঙ্গে শেয়ার করলেন তাঁর পুজো প্ল্যানিং। শুনলেন অরুন্ধতি পাল।



সারাবছর অভিনয়, মডেলিং-এর নানা কাজে সাজতে হয় নানাভাবে, নানাবেশে জিন্স টি-শার্ট, ক্যাজুয়ালেই থাকি সারাবছর  ইন্দো-ওয়েস্টার্নি বেশি পরা হয় কাজের সুবিধার জন্য থাকে ডিরেক্টরের চয়েজ  নিজের মত খাটানোর সুযোগটা আমাদের ফিল্ডে কাজের জন্য বড়ই কম তাই পুজোর এই কটা দিন আমি সাজগোজ খাওয়া দাওয়ার এই সুযোগটা হাতছাড়া করি না  বাধন ছাড়া আনন্দে ভেসে যাই এমনিতে আমি ইন্ডিয়ান ড্রেস পছন্দ করি শাড়ি আমার হট ফেভারিট তাই পুজোর কদিন শাড়িই পরব আর  শাড়ির মধ্যে বেছে নেব কটন, সাউথের শাড়ি, কালারফুল তাত, এগুলো খুবই পছন্দের  এবার কেনাকাটার কথায় আসি সারাবছরই কেনাকাটা এত করতে হয় যে পুজো বলে নিজের জন্য আলাদা করে শপিংটা করাই হয়নি তবে মা বোনের জন্য প্রতিবারের মতো এবারেও কিছু কিছু জামাকাপড় কিনেছি অবশ্য এখনো পর্যন্ত আমি কিন্তু পুজো স্পেশাল উপহার কিছুই পাইনি খুব আশা করে রয়েছি খুব প্রিয় কোনো মানুষের কাছ থেকে একটা শাড়ি গিফট হিসেবে পাব ব্যাস সেরা উপহার আমার এটাই হয়ে যাবে বাঙালিদের প্রধান উৎসব আড্ডা আর খাওয়া দাওয়া ছাড়া জমে না তাই প্রচুর প্ল্যান করেছি এবার  আমার খুব ক্লোজ এক বন্ধুর বাড়িতে পুজো হয়, সেখানে যাব দু-একটা প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখতে যাব, ভেবে রেখেছি এবার অবশ্য বিচারক হচ্ছি না কোথাও, বড্ড হেকটিক শিডিউল হয়ে যায় বাড়িতেই পরিবার বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে পুরো সময়টা কাটাব এরকম সুযোগ তো বড় একটা মেলে না তাই  আর হ্যা প্রচুর খাওয়া দাওয়া করব  এই কদিন অত ডায়েট মানা যায় নাকি একদম নয় বাধন ছাড়া আনন্দ পেট পুজো ছাড়া হবেই না  


আমি বাঙালি খাবার সবথেকে ভালবাসি তাছাড়া কন্টিনেন্টাল, মোগলায়ও খাই কিন্তু পোলাও, খিচুরী, মাছ এগুলো ছাড়া চলবেই না এই কদিন ওই যখন যেমন তখন তেমন আর কি পুজোয় পাত বেড়ে বাঙালি খাবার রাঁধবো, খাব আর খাওয়াব কারণ আমি খুব ভালো রাঁধতে পারি মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়ার মোক্ষম অস্ত্র এই রান্না  তাই  তো ? সবই রাঁধতে পারি, তা সে বিরিয়ানি, কষা মাংস, পোলাও যাই হোক না কেন বলতে পারো রান্নাটা আমার একটা প্যাশন মাঝে মধ্যেই বাড়িতে রান্না করি তাই স্পেশাল গেস্ট, বন্ধু বান্ধব আবদার করলে এই পুজোয়  তাদের পছন্দমত যে কোনো রান্নাই করে দেব পুজোয় একেবারেই ডায়েটিং মানিনা  কারণ এই কটা দিন এনজয় করে নিই, তারপর কাজ  তো সারাবছর চলবেই এমনিতেই পুজোর দিন পনেরো পর আবার শুটিং শুরু হবে এই মাঝের গ্যাপটাতে ভালো করে ওয়ার্ক আউট করে নেব ব্যাস আর চিন্তা কি আর আপনারাও সব চিন্তা ভুলে সবাই খুব আনন্দ করুন পুজোয়, ভালো থাকুন



No comments